Moringa Juice

বর্তমান সময়ে চুলের সমস্যা প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। দূষিত পরিবেশ, অনিয়মিত জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অপুষ্টি এবং অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার চুলের ক্ষতি করছে। অল্প বয়সেই চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রূপ বিশেষজ্ঞরা কেমিক্যাল এড়িয়ে ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদানের দিকে ঝুঁকছেন। সেই তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত নাম এখন moringa juice। সজনে ডাঁটা ও পাতার এই রস চুলের গোড়া মজবুত করতে ও নতুন চুল গজাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Moringa Juice না পাউডার-কোনটি চুলে দ্রুত কাজ করে?

সজনে ডাঁটা ও পাতায় রয়েছে ভিটামিন A, C, E ও B-কমপ্লেক্স, সঙ্গে আয়রন, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি সরাসরি চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, moringa juice সরাসরি স্ক্যাল্পে লাগালে দ্রুত শোষিত হয় এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে সজনে পাতা শুকিয়ে পাউডার করে নিয়মিত খেলে শরীরের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়, যা চুলের গঠনকে শক্ত করে তোলে। তাই বাইরে থেকে দ্রুত ফল পেতে চাইলে রস, আর দীর্ঘমেয়াদে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পাউডার দুটিই গুরুত্বপূর্ণ।

কীভাবে ব্যবহার করলে চুলে মিলবে আসল ফলাফল

চুলের যত্নে moringa juice ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে সজনে ডাঁটা ভালো করে ধুয়ে ছোট টুকরো করে নিন। এক গ্লাস জলে সেদ্ধ করে রস ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই রস স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
খাওয়ার জন্য moringa juice সকালে খালি পেটে অল্প পরিমাণে নেওয়া যায়। এতে শরীর ডিটক্স হয় এবং চুলের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। চাইলে সজনে পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে উষ্ণ জলের সঙ্গে বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি, রুক্ষতা, অকালপক্বতা ও দু’মুখো চুলের সমস্যা কমে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, Moringa juice এবং পাউডার দুটোই আলাদা ভাবে কাজ করলেও একসঙ্গে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য সবচেয়ে ভালো থাকে। তাই চুল পড়া থেকে রেহাই পেতে চাইলে আজ থেকেই প্রাকৃতিক এই উপাদানকে রুটিনে রাখা যেতে পারে।

Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *