Delhi Explosion

দিল্লির লালকেল্লার কাছেই সোমবার সন্ধ্যায় ঘটে গেল এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ, যা গোটা শহরকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। এই Delhi Explosion-এর প্যাটার্ন দেখে হতবাক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। প্রাথমিক তদন্তে এমন কিছু অস্বাভাবিক দিক উঠে এসেছে, যা পূর্বের বিস্ফোরণগুলির সঙ্গে মেলে না।

ঘটনাস্থল ও প্রাথমিক তথ্য

সন্ধ্যা প্রায় ৭টার সময় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে একটি চলন্ত গাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুহূর্তের মধ্যে গাড়িটি আগুনে জ্বলে ওঠে এবং আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কাছাকাছি দোকানের জানালাও ভেঙে যায়। এই Delhi Explosion-এর প্রভাবে চারপাশে দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

আহত ও মৃতের সংখ্যা

দিল্লি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সবাইকে দ্রুত এলএনজেপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অনেকের শরীরে গুরুতর আঘাত লেগেছে।

বিস্ফোরণের অদ্ভুত দিক

তদন্তে জানা গেছে, গাড়িটির পেছনের অংশে বিস্ফোরণটি ঘটে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিস্ফোরণের পরেও মাটিতে কোনও গর্ত তৈরি হয়নি, যা সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাছাড়া, আহতদের শরীরে কোনও ধাতব টুকরো বা তারের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। ফলে এই Delhi Explosion নিয়ে রহস্য আরও গভীর হয়েছে।

ফরেনসিক টিম জানিয়েছে, আগুনে পোড়ার সাধারণ লক্ষণও স্পষ্ট নয়। আহতদের শরীর কালো হয়ে যায়নি, বরং অনেকের শরীরে চাপজনিত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এতে অনুমান করা হচ্ছে, বিস্ফোরণটি হয়তো কোনও নতুন ধরনের বিস্ফোরক বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল।

ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, এনআইএ (NIA), এনএসজি (NSG) এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এলাকার প্রতিটি কোণ সিল করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করার কাজ চলছে এবং আশপাশের যানবাহনের তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এই Delhi Explosion কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। বিস্ফোরণের প্রভাব প্রায় ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।

Delhi Explosion

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা

স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রথমে একটি তীব্র শব্দ শুনে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দেখা যায় গাড়িতে আগুন লেগে গেছে এবং ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আশেপাশের অনেকে আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তদন্তে উঠে আসছে নতুন সূত্র

তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত পদার্থটি প্রচলিত কোনও বিস্ফোরক নয়। এটি সম্ভবত এমন একটি রাসায়নিক মিশ্রণ, যা বেশি ধোঁয়া বা আগুন সৃষ্টি না করেই প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের Delhi Explosion ভারতে আগে দেখা যায়নি।

ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে টহল বৃদ্ধি করেছে। মেট্রো স্টেশন, বাজার এলাকা এবং সরকারি ভবনগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় ভিড় না করতে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

লালকেল্লার মতো ঐতিহাসিক স্থানের কাছে এমন ভয়াবহ Delhi Explosion গোটা দেশকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বিস্ফোরণের ধরন ও প্রভাব দেখে বিশেষজ্ঞরা একে অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন। তদন্ত চলছে, তবে এখনই স্পষ্ট যে এই ঘটনা দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।

Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *